মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বয়রা ইউনিয়নের আন্দারমানিক গ্রামের এক ব্যক্তি সোহেল রানার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মিথ্যা মামলা, মারধর ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক উইংয়ের জেলা প্রধান সমন্বয়কারী পরিচয়ে পরিচিত করেন এবং এ পরিচয় ব্যবহার করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সোহেল রানা দৃশ্যমান কোনো পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। বরং তাকে মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকতে দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন অনেকে। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাণিসম্পদ ও সমাজসেবা অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন বলে জানা গেছে।
তার কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে গত ৭ আগস্ট স্থানীয়রা মানববন্ধন করেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গণপিটিশন জমা দেন। কিন্তু পরে সোহেল প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধেই পাল্টা মামলা করেন। এছাড়া বড় ভাই হুমায়ুন কবির ও ফুফু খায়রুন নেছার জমি দখল এবং পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে সোহেল রানা বলেন, “আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।”
তবে এনসিপির জেলা সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার জানান, “সোহেল রানার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। সে একজন অনুপ্রবেশকারী।”
হরিরামপুর থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, “অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
নিউজ ডেস্ক