রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, কিন্তু বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
শনিবার বিকেলে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এবিএম মোশাররফ বলেন, “বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, জনগণের সম্পদ লুট করেছে। কিন্তু বিএনপি অতীতেও মানুষের অধিকার রক্ষায় ছিল, ভবিষ্যতেও জনগণের পাশে থাকবে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সবসময় গণতন্ত্র ও জনগণের প্রতিনিধিত্বে বিশ্বাসী। “অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি ইনশাল্লাহ ক্ষমতায় আসবে,” বলেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের রাজনৈতিক অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জামায়াত বিএনপির সঙ্গে নির্বাচন করেই ৯১ সালে ১৮টি এবং ২০০১ সালে ১৭টি আসন পেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি ছাড়া নির্বাচনে তাদের সাফল্য নেই। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীক কখনোই একটি আসনও জিততে পারেনি।”
প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার পদত্যাগের প্রসঙ্গ টেনে এবিএম মোশাররফ বলেন, “গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের সম্পদ পাহারা দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। আমরা সবসময় মানুষের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।”
চাকরিপ্রত্যাশী তরুণদের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর এক বছর পর্যন্ত বেকার তরুণদের বেকার ভাতা দেওয়া হবে।”
রাঙ্গাবালীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে এবিএম মোশাররফ বলেন, “এই দ্বীপ উপজেলায় এখনও সরকারি হাসপাতাল নেই। অথচ এই আসনে আওয়ামী লীগের সময় দুজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তারা জনগণের জন্য নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী দিনে উন্নয়ন চাইলে যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে, তাদেরই ভোট দিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান—এমন সিদ্ধান্তই দলের।”
সরকারের নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে কোনো সময়ই সুষ্ঠু ভোট হয়নি—কখনো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, কখনো রাতের ভোটে, আবার কখনো নিজেরাই ভোট দিয়েছে। এবার নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, দলীয় সরকারের অধীনে নয়।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার।