ঢাকা

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ হোসেন গ্রেপ্তার

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : ইং
ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত
৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাত ও অর্থপাচারের মামলায় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।


এর আগে গত ১৭ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।


এই মামলায় নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ গ্রেপ্তার হওয়া ফিরোজ হোসেন মামলার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ আসামি বলে জানা গেছে।


দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অসম্পূর্ণ ঋণ প্রস্তাব যাচাই-বাছাই না করে এবং পর্যাপ্ত জামানত ছাড়াই আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগসাজশে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করেন।


তারা ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও সভাপতি হিসেবে ঋণ অনুমোদনের প্রস্তাব দেন, বোর্ডে পাঠান এবং অনুমোদন করিয়ে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন।


আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।


মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন— ‘মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটস’-এর প্রোপাইটার মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আসাদ মালেক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।


এছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, মো. নুরুল আমিন, অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন ও মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমের নামও রয়েছে মামলার তালিকায়।



কমেন্ট বক্স