ঢাকা

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত আবদুল্লাহ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : ইং
ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলের সামনে তিনি সাক্ষ্য দেবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, হাসনাত আবদুল্লাহ মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী। আজ সকাল ১০টার পর তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে পারেন।

এর আগে ২৭ নভেম্বর টানা ১৮তম দিনে ২১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এরপর আজকের তারিখ নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল।

গত ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার আছেন। বাকি ২৬ জন, যার মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিও রয়েছেন, এখনো পলাতক। পলাতকদের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। তাদের উপস্থিতিতেই আজ প্রসিকিউশন সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে।

পলাতক আসামিদের পক্ষে গত ৩০ জুলাই শুনানিতে অংশ নেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী। পাঁচজনের পক্ষে লড়েন অ্যাডভোকেট সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একাংশের নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া অংশ নেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম, মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগের দিন, ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। শরিফুলের পক্ষে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, আর ইমরানের পক্ষে লড়েন সালাহউদ্দিন রিগ্যান। তারা তিনজনেরই অব্যাহতি চান।

প্রসিকিউশন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করে ২৮ জুলাই। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার অভিযোগ ও বিস্তারিত তুলে ধরেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আদালতে গ্রহণ করা হয় ৩০ জুন। এর আগে ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।




কমেন্ট বক্স