কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম। ফলে আপাতত কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হচ্ছে না।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিমানবন্দরটি আগের মতোই কেবল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। গত ১৩ অক্টোবর (রোববার) প্রকাশিত সেই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, “জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”

তবে অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের।

আরাকান আর্মির হাতে আটক কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১৮ বাংলাদেশি জেলের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এসব পরিবারের কাছে সহমর্মিতা ও সহযোগিতার বার্তা পৌঁছে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ও অভাবগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—শামীম মিয়া, মোহাম্মদ ফরিদ, মোহাম্মদ আরমান, মশিউর রহমান মহান, আদনান আজাদ, ইমরান রাশেদ, সিমান্ত সরকার, তৌফিক সিতু, শুভব্রত সরকার, মিজানুর রহমান তাসিব, ফয়সাল বিন আজম ও মহিউদ্দিন মাহিনসহ অন্যরা।

রাতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আরাকান আর্মির হাতে আটক জেলেরা হলেন—আবু তারেক, জিয়াউল হক, রহমত উল্লাহ, রফিক, আব্দুল মোতালেব, আবু বকর সিদ্দিক, তাহের, মনিউল্লাহ, ছৈয়দুল্লাহ, আব্দুর রহিম, হাফেজ আহমদ, সালাহউদ্দিন, আফসার উদ্দিন, মো. আইয়ুব, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর, আলহাজ উদ্দিন ও সাব্বির আহমেদ।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক জেলেদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কূটনৈতিক ও মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে এবং তাদের পরিবারের পাশে দল সর্বাত্মকভাবে থাকবে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুকে এতদিন আত্মহত্যা বলা হলেও ২৯ বছর পর সেটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার আদালতের এ নির্দেশের পর মামলায় মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে সন্তানের মৃত্যুর ন্যায়বিচার দাবি করে আসা সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বলেন, “খুনের চিহ্ন আর আত্মহত্যার চিহ্ন আলাদা। আমার ছেলের শরীরে সেই খুনের চিহ্ন ছিল। এটা পরিকল্পিত হত্যা, আমি ২৯ বছর ধরে বলে আসছি—আমার ছেলে আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়।”

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, “আমরা খবর পাই ইমন (সালমান শাহ) অসুস্থ। কিন্তু বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অনেকক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আমার ছেলের সাদা পোশাকে রক্তের দাগ ছিল, কিন্তু গলায় কোনো দাগ ছিল না। পোস্টমর্টেমের নামে তার শরীরের অঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছিল।”

নীলা চৌধুরী কয়েকটি প্রশ্নও তুলেছেন—“সামিরার মা ৫ সেপ্টেম্বর কেন ঢাকা এসেছিলেন? মৃত্যুর একদিন আগে একটি গাড়ি আসে, বোরকা পরে সেই গাড়িতে কারা ছিল? এসব তদন্ত করলে সত্য বের হয়ে আসবে।”

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। বিভিন্ন তদন্ত কমিটি ঘটনাটিকে এতদিন ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করলেও, নতুন নির্দেশে সেই মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপ নিয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে নাম এসেছে সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হকের। অন্য ১০ আসামি হলেন—প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, অভিনেতা ডন, সালমানের সাবেক শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু এবং রেজভি আহমেদ ফরহাদ।