ঢাকা

দাগনভূঞায় ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার, আক্রান্ত দেড় শতাধিক

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : ইং
ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ঘরে-বাইরে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত দাগনভূঞায় মোট ১৭৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন— যা জেলার মোট আক্রান্ত রোগীর ৪৮ দশমিক ০৭ শতাংশ।


চলতি বছরের জুলাই মাসে দাগনভূঞায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর আগস্টে আক্রান্ত হন ১৩ জন, সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ জনে, আর অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। শুধু ১৬ অক্টোবরেই একদিনে ১৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন রোগী।


স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত ফগিং না হওয়ায় এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক থাকায় মশার বংশবিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও সচেতন মহল।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম সোহরাব আল হোসাইন বলেন, দাগনভূঞায় ডেঙ্গু বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ঘনবসতি ও অপরিষ্কার পরিবেশ। পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় বাইরের এলাকা থেকেও ভাইরাস ছড়াচ্ছে। খাল-ডোবায় জলাবদ্ধতা, উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানিতে এডিস মশার প্রজনন বেড়ে গেছে।


তিনি আরও বলেন, দাদনা খালসহ বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা নোংরা পানি ডেঙ্গু বিস্তারের অন্যতম কারণ। এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে জন্ম নিলেও এসব স্থানে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় প্রজননের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আমরা মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধন কার্যক্রমও চলমান রয়েছে, জনবলও বাড়ানো হয়েছে। তবে মানুষের অসচেতনতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই এখনো বাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখছেন না।




কমেন্ট বক্স