বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আবারও বড় ধাক্কা। প্রায় ৫০ ওভার খেলে তেমন একটা স্মরণীয় রান সংগ্রহ করতে পারেনি টাইগাররা। একসময় তো দুইশর নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে রিশাদ হোসেন আর তানভীর ইসলামের ব্যাটিংয়ে সেটি থেকে রেহাই পায় বাংলাদেশ।
মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয়েছে। অর্থাৎ জয় পেতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২০৮ রান।
মিরপুরে টস হারিয়ে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সমস্যায় পড়েছিল। তানজিদ হাসান তামিমকে বাদ দিয়ে ওপেনিংয়ে ফেরানো হয় সৌম্য সরকারকে, যিনি সাইফ হাসানের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছিলেন।
দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই রোমারিও শেফার্ডের বলে এলবিডব্লিউ হন সাইফ হাসান। সিদ্ধান্ত এতটাই স্পষ্ট ছিল যে, তিনি রিভিউ নেওয়ারও চেষ্টা করেননি এবং মাত্র ৩ রানে ফিরেছেন।
পরের ওভারের প্রথম বলেই জেডেন সিলসের ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য সরকার। দীর্ঘ সময় পর দলে ফিরে মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন। যদিও তাদের ব্যাটিং ধীরগতির ছিল। ১২০ বল খেলে তারা যোগ করেন ৭১ রান। শান্ত ৬৩ বল খেলে ৩২ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান পিয়েরির বলে।
হৃদয় বেশ কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। তবে মিরপুরের ধীর পিচে তার হাফসেঞ্চুরি করতে সময় লেগেছে ৮৭ বল। ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি পূরণ করার পর তিনি মাত্র ৫১ রান করে ফিরেন, জাস্টিন গ্রেভসের এক শট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে।
পঞ্চম উইকেটে অঙ্কন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৫৫ বল খেলে ৪৩ রান যোগ করেন। মিরাজ যখন রস্টন চেজের স্পিনে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন, তখন তাদের জুটি ভেঙে যায়। ২৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর নিজের ভুলে ফিফটি থেকে পিছিয়ে পড়েন অভিষিক্ত অঙ্কন। চেজের বলে হাঁটু গেড়ে বড় শট খেলতে গিয়ে মিস করে বোল্ড হন। ৭৬ বলে ৪৬ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ৩টি চার।
নুরুল হাসান সোহান ১০ বলে ৯ রান করেন। রিশাদ হোসেন ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানের ঝলক দেখান এবং দলকে দুইশর কাছাকাছি নিয়ে যান। তানভীর ইসলাম ৪ বলে ১ ছক্কা হাঁকিয়ে ৯ রান যোগ করেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জেডেন সিলস ৩টি উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হন। রস্টন চেজ ও জাস্টিন গ্রেভস ২টি করে উইকেট নেন।