ঢাকা

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা, পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : ইং
ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পরপর তিনটি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর সারা দেশে পুলিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ (কেপিআই) লক্ষ্য করে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় এই নির্দেশনা জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরপরই এ সতর্কতা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ ও জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে টহল জোরদার, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় চেকপোস্ট স্থাপন এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, “বিমানবন্দর বা ইপিজেডের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন লাগা সাধারণ ঘটনা নয়। তাই প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, “যথাযথ তদন্ত না হলে সাধারণ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়। জননিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে তা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে।”

কেপিআই কী?
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন’ সংক্ষেপে কেপিআই নামে পরিচিত। বর্তমানে দেশে বঙ্গভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, বিমানবন্দর, সচিবালয়, বিটিভি, কারাগার ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৫৮৭টি কেপিআই রয়েছে। এসব স্থাপনার নিরাপত্তা তদারকির জন্য সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি কাজ করে।

১৯৯৭ সালে প্রণীত কেপিআই নিরাপত্তা নীতিমালা সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাংলায় হালনাগাদ করা হয়। এতে নিরাপত্তা জোরদার, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, দর্শনার্থীর তথ্য সংরক্ষণ, সিসিটিভি ও লাগেজ স্ক্যানার স্থাপনসহ প্রয়োজনে সশস্ত্র আনসার নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।



কমেন্ট বক্স