বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন এবং প্রবাসীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরায় এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফুজাইরা বাংলাদেশ সমিতির উদ্যোগে, বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের সহযোগিতায় এবং আমিরাত প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফুজাইরা বাংলাদেশ সমিতির নিজস্ব কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ফুজাইরা বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন বেলাল, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মাসুদ পারভেজ, হেলাল নুর ও হামাদ মুহাম্মদ ইসলাম।
সভায় আমিরাত প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইবার অপরাধ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার এবং ট্রাফিক আইন নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর ফুজাইরা পুলিশের কমিউনিটি সুরক্ষা ও প্রতিরোধ বিভাগের উপ-পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ সাঈদ আল হাশিমি বলেন, ‘আমরা সবসময় বাংলাদেশ কমিউনিটিকে পাশে পেতে চাই এবং আশা করি আপনারাও অপরাধ প্রতিরোধে সহযোগিতা করবেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত শতভাগ আইনের দেশ, যেখানে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধ চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ, আমরা যা করছি সবই রেকর্ড হচ্ছে। তাই যে যেখানে অবস্থান করি না কেন, সবাই যেন আইনকানুন মেনে চলি।’
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৭ অক্টোবর আমিরাতের শ্রম মন্ত্রীর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশেষ অতিথি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই সচেতনতা ও ইতিবাচক আচরণই হবে মূল চাবিকাঠি।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফুজাইরা সিআইডির সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হামাদ মোহাম্মদ বিন নাইয়া আল তুনাইজি, ট্রাফিক ও লাইসেন্সিং বিভাগের প্রথম সহকারী ড. ইয়াসের রশিদ আল হেফেইতি, কমিউনিটি পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা মেজর ফাতিমা হামাদ আল ইয়ামাহি, মেজর মরিয়ম আলী আল জাহমি এবং আহমেদ নাসের আল কিন্দি।
সমাপনী বক্তব্যে ফুজাইরা বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন বেলাল আয়োজনকে সফল করার জন্য আমিরাত প্রশাসন ও দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “দু’দেশের সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে যে বার্তাগুলো এসেছে, তা আমরা প্রবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”প্রবাসীদের প্রশংসায় সভার আয়োজনটি ছিল সময়োপযোগী, শিক্ষণীয় এবং ভবিষ্যতে এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান উপস্থিত অংশ গ্রহণকারীরা।