গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র ততই বাড়বে — তাই আগামী জানুয়ারি নাগাদ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার আহ্বান জানানো উচিত। তবে তিনি সতর্ক করে দেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিই প্রথম শর্ত। সেই পরিবেশ গড়ার জন্য ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত গোয়েন্দা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টায় গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, জাতীয় জুলাই সনদ ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে; দ্রুত সময়ের মধ্যে সেই সনদ বাস্তবায়ন করে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টায় কিছু স্বৈরাচারী মহল অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করছে। তিনি এ ধরনের আয়োজনকে ‘‘আরেকটি ১/১১’’ তৈরির চক্রান্ত বলে অভিহিত করেন এবং সতর্ক করেছেন যে, পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে তা দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সংকটে ফেলতে পারে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বদল না করা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে উপদেশ দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে কোনো ক্ষমতাসীন দলের লোক ‘‘ডামি’’ হয়ে অন্য দলের হয়ে অংশ নিতে পারবে না; প্রয়োজনে তাদের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত করতে হবে। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের ওপরও সংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। দাবি মেনে না নিলে তাদের সঙ্গে নিয়ে যমুনা-সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি এবং বলেন, ‘‘শিক্ষকদের কষ্ট করে কোনো উপদেষ্টা গদিতে থাকতে পারবে না।’’