নোয়াখালী সদর উপজেলার কাসেম বাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবির আয়োজিত কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার বিকেলে আঘাতের পর রোববার (১৯ অক্টোবর) তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন, স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা ‘সন্ত্রাসী’ হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “নব্য ফ্যাসিস্ট ও কুরআনবিদ্বেষী রাজনীতির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করা হয়েছে। অসভ্যতারও একটা সীমা থাকা উচিত। দেশের বর্তমান প্রজন্ম এ ধরনের কার্যক্রম সহ্য করবে না।”
জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নতুবা যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকারকে নিতে হবে। আমাদের উদারতাকে দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না।”
ছাত্রশিবিরের জেলা প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে শনিবার হামলা চালানো হয়। রোববার আসরের নামাজের পরও বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মসজিদে হামলা চালিয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে কমপক্ষে ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন নোয়াখালী শহর ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক তানভীর সিয়াম, আইন সম্পাদক নাঈম হোসেন, শিবিরের সাথী ছালাউদ্দিন ও কেরামতিয়া মাদ্রাসার ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত আলী।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও ছাত্রশিবির এখনও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম জারি করেছে।